নিজস্ব প্রতিবেদক:
মিথ্যা অপবাদ, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন খন্দকার ট্রেডার্সের প্রোপ্রাইটর খন্দকার সোহেল। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর ২০২৫) রাতে কুষ্টিয়া শহরের খন্দকার ট্রেডার্সের নিজস্ব কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে খন্দকার সোহেল বলেন, “আমার ও আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা অপবাদ ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য সম্বলিত সংবাদ সম্মেলন করেছে। এ ধরনের অসত্য তথ্য প্রচার কেবল আমার ব্যক্তিগত মর্যাদাকেই আঘাত করেনি, বরং ব্যবসায়িক ভাবমূর্তিও নষ্ট করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি সব সময় বৈধ ব্যবসা পরিচালনা করেছি এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেছি। তাই এ ধরনের অপপ্রচার কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
খন্দকার সোহেল অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি জাকারিয়া পিন্টু ও তার ভাই মেহেদী একটি মহলকে সঙ্গে নিয়ে তার এবং তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে। তিনি বলেন, “আমার ও আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার লক্ষ্যে যে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অসত্য ও দায়িত্বজ্ঞানহীন। আমরা সত্য উদঘাটনের মাধ্যমে আইনি প্রতিকার কামনা করছি।”
সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার সোহেল নৌপথে অনিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও নিরাপত্তাহীনতার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আমি যদি জানতাম পদ্মা নদীতে এত বড়-বড় জলদস্যু আছে, তাহলে আমি নদীর ঘাটে ব্যবসা করতে যেতাম না। ৬ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা দিয়ে ঘাট ডেকে পিন্টু ও মেহেদী সন্ত্রাসী বাহিনীর সাথে আমি লড়াই করব—ইহা আমার কাম্য নয়। আমি বৈধভাবে ব্যবসা করতে চাই, কারো সঙ্গে সংঘাতে নয়।”
তিনি জানান, নৌ পুলিশের পর্যাপ্ত সুরক্ষা না থাকায় তিনি ও তার কর্মচারীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। প্রতিদিন প্রায় এক লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি। এ পরিস্থিতিতে প্রশাসনের কাছে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান খন্দকার সোহেল।
তিনি প্রশাসনের উদ্দেশে প্রশ্ন রাখেন, “আমার বৈধ উপায়ে ব্যবসা করা কি অপরাধ? যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমাকে জানানো হোক; আমি অন্য ব্যবসায় চলে যাব। কিন্তু হেনস্থা ও কুনঠিত হয়ে ব্যবসা করতে রাজি নই।”
খন্দকার সোহেল আরও অভিযোগ করেন, “স্থানীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নিয়মিতভাবে আমাদের কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে, মাঝিদের মারধর করছে, এবং ব্যবসা পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করছে। নৌ পুলিশের তৎপরতা না থাকায় আমরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এলাকার ব্যবসায়ী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশন মাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ।
শেষে খন্দকার সোহেল বলেন, “খন্দকার ট্রেডার্স সবসময় আইনানুগ ও নৈতিক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। জনগণের আস্থা অর্জনই আমাদের মূল লক্ষ্য। সত্যকে তুলে ধরুন, গুজব নয়—আমরা আইন ও ন্যায়বিচারে আস্থা রাখি।”