নিজস্ব প্রতিবেদক:
নৌ-পুলিশের সহযোগিতায় কুষ্টিয়া অঞ্চলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকায় পদ্মানদীতে বৈধ ইজরাদারের বালিবোঝাই নৌকা থেকে চাঁদাবাজী করার অভিযোগ উঠেছে । মাঝিরা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ঈশ্বরদীর জাকারিয়া পিন্টু ও তার ছোট ভাই মেহেদী এবং ভেড়ামারার আওয়ামী দোসর আবু সাইদ খানের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী মাঝিদেরকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত মাঝিদেরকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় ঘটনাটি ঘটেছে গত ৪ অক্টোবর দুপুরে ।
এ ব্যাপারে বালি উত্তোলনের জন্য "পাটুরিয়া টু রাজশাহী নৌ- চ্যানেলের বৈধ ইজারাদার "গ্রুপ অন সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড" প্রতিষ্ঠানের “সহকারী পরিচালক খন্দকার ট্রেডার্সের মালিক সোহেল খন্দকার ঈশ্বরদীর জাকারিয়া পিন্টু, তার ভাই মেহেদী হাসান ও ভেড়ামারার আওয়ামীলীগ নেতা সাঈদ খানের বিরুদ্ধে গতকাল রাতে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সোহেল খন্দকার বলেন “গ্রুপ অন সার্ভিসেস প্রাইভেট: লিমিটেডের প্রোপাইটর নাসির উদ্দিন পদ্মানদীর চ্যানেল থেকে বালি উত্তোলন করার জন্য সরকার থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত বৈধ ইজাদার। আমি ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারীপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। কিন্তু ইজারা পাওয়ার পর থেকেই ঈশ্বরদীর জাকারিয়া পিন্টু, তার ভাই মেহেদী হাসান ও ভেড়ামারার আওয়ামীলীগ নেতা সাঈদ খান প্রতিদিন চাঁদা দেয়ার জন্য আমাদের কর্মচারি ও মাঝিদের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল । গতকাল শনিবার দুপুরে টহলরত নৌ-পুলিশের এস আই মনির ও এস আই শামীমের উপস্থিতিতে পিন্টুর সন্ত্রাসী বাহিনী নৌকার মালিক ভেড়ামারা থানার পশ্চিম বাহির চর গ্রামের সাইদুল সরদার, মাঝি সাইদ শেখ ও নায়েব আলীর কাছে চাঁদাদাবি করে। তারা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে পিন্টুর সন্ত্রাসী বাহিনী চরম মারপিট করে । এতে মাঝিরা গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তিনি বলেন বিষয়টি জানার পর নৌ পুলিশের ওসি খন্দকার শাফিকুল ইসলামকে জানালে তিনি বিষয়টি দেখছি বলে মোবাইল কেটে দেন। কিন্তু তিনি আইনুগ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। খন্দকার সোহেল আরো জানান এ ঘটনার পর আমরা আতংকিত । আমাকেও তারা হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বলে জানতে পেরেছি। তিনি জাকারিয়া পিন্টু, তার ভাই মেহেদী হাসান ও ভেড়ামারার আওয়ামীলীগ নেতা সাঈদ খানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে সাংবাদিক সম্মেলনে উল্লেখ করেন। তিনি আরো জানান সন্ত্রাসীদের কারণে তারা আর্থিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছেন ।
এ ব্যাপারে জাকারিয়া পিন্টুর সাথে যোগাযোগ করে তার বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে নৌ-পুলিশের লক্ষীকুন্ডা ফাঁড়ির ইনচার্জ খন্দকার শাফিকুল ইসলামের নিকট সরাসরি ঘটনার বিস্তারিত জানতে গেলে আমাদের ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি এবং আমাদের প্রশ্নের সদত্তোর দিতে পারনি।
সোহেল খন্দকার আরো বলেন যে, আমার ধারনা নৌ-পুলিশ তাদের থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে সব রকমের সহযোগীতা করছে।
তিনি বলেন আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে তারদের বিচার দাবী করছি।