নিজস্ব প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাঠিকা বাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী কে অভিনব কায়দায় অপহরণ। মোঃ সেলিম উদ্দিন এর মেয়ে সেলিনা (৭) পাটিকা বাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতি বার সকালে স্কুলে গিয়েছিল সেলিনা,একই গ্রাম এর মোঃ সাইফুল হক এর স্ত্রী মোছাঃ পায়রা খাতুন (২৭),সকাল ১১ ঘাটিকায় স্কুল ছাত্রী সেলিনা (৭) কে,চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা মার্কেট থেকে জামা কিনে দিবে বলে মোঃ সাইফুল হক এর স্ত্রী মোছাঃ পায়রা খাতুন (২৭) স্কুল ছাত্রী সেলিনা কে,পায়রার সাথে যেতে রাজি করায়। সোনিয়া বলে,স্কুল ছুটি হলে আমি যাব,পায়রা খাতুন এবং সহযোগী নিশান অপেক্ষায় থাকে কখন স্কুল ছুটি হয়,স্কুল যখন ছুটি হয় পায়রা খাতুন এবং নিশান দ্রুত একটি ভ্যান যোগে আলম ডাঙ্গার উদ্দেশ্যে সোনিয়া কে নিয়ে রওনা হন, এমনটি স্কুল ছাত্রী সেলিনা আমাদের কে জানিয়েছেন।ছুটি হলে বাড়িতে না গিয়ে পায়রা খাতুন এর সাজানো ফাঁদে পড়ে,যায় স্কুল ছাত্রী সেলিনা। এক পর্যায়ে পায়রা খাতুন ও তার সহযোগী মোঃ নিশান (৩৫),পিতা মোঃ মহাসিন,গ্রাম মাঝিলা। এদিকে ১২ ঘটিকার সময় স্কুল ছুটি হলে মেয়ে বাড়িতে ফিরতে বিলম্ব করায় মেয়ের মা স্কুলে মেয়েকে খুঁজতে আসেন ১২:৩০ মিনিটের দিকে,তখনো স্কুলে শিক্ষকরা অবস্থান করছিলেন,শিক্ষক দের কে স্কুল ছাত্রী সেলিনার মা প্রশ্ন করেন,স্কুল ছুটি হয়েছে কিন্তু আমার মেয়ে সেলিনা এখনো বাড়িতে ফেরেনি,শিক্ষক বলেন সেলিনার এক খালা এসে ওকে নিয়ে গিয়েছেন। তখন মেয়ের মার সন্দেহ হয় শিক্ষক কে বলেন,আমার মেয়ে কিডন্যাপ হয়েছে,মেয়ের মা ও পরিবারের সবাই পাটিকা বাড়ি পুলিশ ক্যাম্পে দ্রুত গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। ক্যাম্পের আই সি মোঃ নুরুন্নবী,ও আই সি টু মোঃ শামসুল ইসলাম,সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেন। এক পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলম ডাঙ্গায় গিয়ে স্কুল ছাত্রী সেলিনা কে, উদ্ধার করতে সক্ষম হন। সেই সাথে অপহরণ কারী মোছাঃ পায়রা খাতুন, ও সহযোগী মোঃ নিশান কে গ্রেপ্তার করে পাটিকা বাড়ি পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। সন্ধ্যার পরে অপহরণ কারী মোছঃ পায়রা খাতুন ও সহযোগী নিশান কে ইবি থানাতে প্রেরণ করেন।