নিজস্ব প্রতিবেদক:
বর্ণাঢ্য শিক্ষকতা জীবন শেষ করে অবসরে গেলেন দৌলতপুর কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোঃ আমিরুল ইসলাম। রোববার ছিল গুণী এই শিক্ষকের শেষ কর্মদিবস। এ উপলক্ষে লালনশাহ ভবন হলরুমে রোববার বেলা ১১টায় নিজ বিভাগের আয়োজনে অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আপাদমস্তক ভদ্র, বিনয়ী ও সদা হাস্যজ্জল এই শিক্ষককে ভালোবাসায় সিক্ত করেন কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
কলেজের উপাধ্যক্ষ (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ) মোঃ আব্দুস ছালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মোঃ রফিজ উদ্দীন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মোঃ নজরুল ইসলাম, আইসিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আহাদ আলী নয়ন, পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঃ মঃ সরওয়ার, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মাহফুজুল আলম, ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ রাশেদুজ্জামান রাসেল, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ আবুল কালাম আজাদ ও মোছাঃ ফারজানা ববি লিনা, বিএম শাখার প্রভাষক মোছাঃ নাহিদা পারভীন, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ মাহফুজুর রহমান, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোছাঃ সোনিয়া নাহিদ, দৌলতপুর কলেজের অফিস সহকারী মোঃ মনিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিদায়ী গুণী শিক্ষক হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, বিভাগীয় প্রধান ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোঃ আমিরুল ইসলাম আবেগঘন বক্তব্যে তার বর্ণাঢ্য শিক্ষকতা জীবনের নানা স্মৃতি নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় বিদায়ী অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, "দীর্ঘদিনের শিক্ষকতা পেশায় আনন্দের পাশাপাশি পথিকুলতা ছিল নানাবিধ। দৌলতপুর কলেজ হাটাহাটি পা পা করে শুরু করে আজ সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছে। হাজার হাজার শিক্ষার্থী এই কলেজে লেখাপড়া করছে। আগামী দিনেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি মনে করেন। দীর্ঘদিনের এই কর্মময় জীবনে কলেজের অন্যান্য শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের যে সহযোগিতা পেয়েছি সেজন্য সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আগামী দিনগুলোতে যেন সুস্থ থাকা যায় কার জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।"
শেষে বিদায়ী শিক্ষকের হাতে ক্রেস ও বিভিন্ন উপহারসামগ্রী তুলে দেন অনুষ্ঠানের আয়োজক হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকমন্ডলী ও শিক্ষার্থীরা।
অধ্যাপক মোঃ আমিরুল ইসলাম ১৯৯১ সালের ১ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর কলেজে হিসাববিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। ৩৩ বছর ১১ মাস ১০ দিন তিনি এই বিভাগে সুনামের সাথে শিক্ষকতা করেন। তিনি দীর্ঘদিন দৌলতপুর কলেজের টিচার্স কাউন্সিলের সেক্রেটারি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। চাকরী জীবনে তিনি একাধিকবার কলেজের ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি হিসাবে নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি নানান সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। একাধিকবার কুষ্টিয়া পল্লীবিদ্যুতের জেলা সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি দীর্ঘ ২০ বছর কুয়েতের আল সালেহ পাবলিক ওয়েল ফেয়ারের বাংলাদেশ কো-অর্ডিনেটর ছিলেন।