মোঃ রাসেল, শৈলকুপা প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের শৈলকুপাতে নতুন কাপড় কেনাকে কেন্দ্র করে স্বামীর সাথে কথাকাটাকাটির জেরে স্বামীর, শ্বশুর ও প্রতিবেশীর নির্যাতনে পিংকী রাণী দাস নামের এক নারীর প্রাণ হারানোর অভিযোগ উঠেছে।
এঘটনায় বুধবার (২৮ মে) রাতে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন নিহতের পিতা শ্রীকান্ত কুমার দাস। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খাঁন।
লিখিত এজাহারে ৩জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন, নিহতের স্বামী শ্রী সুমন কুমার দাস, শ্বশুর শ্রী ভগিরত দাস ও প্রতিবেশী রামকৃষ্ণ।
লিখিত এজাহারে বলা হয়েছে, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিভিন্ন কারণে পিংকীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন।
গত ২১ মে সন্ধ্যায় স্বামীর কাছে কাপড়চোপড় কিনে দেওয়ার অনুরোধ করেন পিংকী। এ নিয়ে স্বামীর বাড়ি উপজেলার ত্রিবেণী গ্রামে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে স্বামী সুমন কুমার দাস, শ্বশুর ভগিরত দাস, প্রতিবেশী রামকৃষ্ণসহ আরও কয়েকজন মিলে লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে পিংকীকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন।
এতে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি মাটিতে পড়ে গেলে আরও নির্যাতন চালানো হয়। পরে আহত অবস্থায় তাকে তার বাবার বাড়ির লোকজন গত ২৩ মে বিকেলে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৬ মে বিকেলে পিংকী মারা যান। কুষ্টিয়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) স্বপন কুমার মণ্ডল লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন।
নিহতের বাবা শ্রীকান্ত কুমার দাস বলেন, ‘মেয়ে মারা যাওয়ার পর এতটাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম যে, মামলা করতে কিছুদিন সময় লেগেছে। আমার মেয়েকে যারা হত্যা করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
এবিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খাঁন বলেন, লিখিত এজাহার পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।