জুলাই ঘোষণাপত্রে ৭ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির লিফলেট বিতরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জুলাই ঘোষণাপত্রে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতা পরিষ্কার করা সহ ৭টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়ার নেতৃবৃন্দ শহরের জিলা স্কুল এলাকা থেকে মজমপুর গেট হতে এন এস রোডের ব্যবসায়ী সহ পথচারীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়াও পারভেজ মোশারফ, বেলাল হোসেন বাধন, সায়াদ ইসলাম শ্রেষ্ঠ, হাফিজ আল মাসুম,সুলতান মাহমুদ,সুমন,আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ,আবির মাহমুদ সহ অনেকে।
জাতীয় নাগরিক কমিটি কুষ্টিয়া জেলা থেকে রফিকুল্লাহ কালবি, সুলতান মারুফ তালহা, আলী মুজাহিদ, সোয়াইব হাসান রাইয়ান, শাহীন রিংকু, রাসেল পারভেজ, সাইফুল্লাহ, ফিরোজ আহমেদ প্রমূখ।
এদিকে তাদের কর্মসূচিতে যেসব দাবি জানানো হয়।
১। জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে আহতদের বিনামূল্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সুচিকিৎসা প্রদানের প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করতে হবে।
২। ঘোষণাপত্রে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর নেতৃত্ব পরিষ্কারভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
৩। অভ্যুত্থানে আওয়ামী খুনি ও দোসরদের বিচার নিশ্চিত করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে।
৪। ১৯৪৭ সালের পাকিস্তান আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতা পরিষ্কার করতে হবে।
৫। ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার মূল ভিত্তি সংবিধান বাতিল করে নির্বাচিত গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে।
৬। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে সব ধরনের বৈষম্য নিরসনের মধ্য দিয়ে নাগরিক পরিচয় প্রধান করে রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে।
৭। জুলাই অভ্যুত্থানের একমাত্র প্রধান লক্ষ্য আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করা ছিল না; বরং গত ৫৩ বছরের বৈষম্য, শোষণ ও ফ্যাসিবাদি রাজনৈতিক ব্যবস্থা বিলোপ করার লক্ষ্যে এ অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। সুতরাং বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো বিলোপ করতে সব ধরনের সংস্কারের ওয়াদা দিতে হবে।